মাসিক সংক্রান্ত মানসিক বিষণ্নতা
প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিন্ড্রোম (Premenstrual Syndrome – PMS)
প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিন্ড্রোম (Premenstrual Syndrome – PMS) হওয়ার কারণ
মাসিকের পূর্ববর্তী সময়ে প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিন্ড্রোম হওয়ার সঠিক কারণ সেভাবে না জানা গেলেও নিচের কারণগুলো এর জন্য দায়ী বলে ধরা হয়:
প্রি-মেন্সট্রুয়াল ডিসফোরিক ডিজঅর্ডার (Premenstrual Dysphoric Disorder – PMDD)
প্রি-মেন্সট্রুয়াল ডিসফোরিক ডিজঅর্ডার বা পি.এম.ডি.ডি হলো প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিন্ড্রোম (Premenstrual Syndrome) বা PMS এর তীব্র রুপ। PMS হলো মাসিকের আগের বিভিন্ন লক্ষণ। PMDD অবস্থায় PMS-এর লক্ষণগুলো এত বেশি তীব্র আকার ধারণ করে যা দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং আশেপাশের মানুষের সাথে সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই অবস্থায় প্রতি মাসিক চক্রের ৭ থেকে ১০ দিন আগে প্রচণ্ড বিষণ্ণতা ও দুশ্চিন্তাবোধ হয়ে থাকে। এসময় অল্পতেই রেগে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এ উপসর্গগুলো মাসিক শুরুর ঠিক আগে আগে হয় এবং সাধারণত মাসিক শুরু হয়ে গেলে আর থাকে না।
প্রি-মেন্সট্রুয়াল ডিসফোরিক ডিজঅর্ডার (Premenstrual Dysphoric Disorder – PMDD) হওয়ার কারণ
PMS-এর মতই PMDD-র কারণও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি, তবে মাসিক চক্রের শেষ সপ্তাহে এস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন-এর মাত্রা কমে যাওয়াটা এতে একটি ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হয়। যেসব নারীর বিষাদজনিত বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে বা বাচ্চা জন্মদানের পরবর্তী সময়ে বিষণ্ণতায় ভুগে থাকেন, তাদের এই সমস্যাটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অন্য যে কয়টি জিনিসের জন্য PMDD-তে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় সেগুলো হলঃ
PMDD-তে আক্রান্ত হলে নিচের উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারেঃ
প্রি-মেন্সট্রুয়াল ডিসফোরিক ডিজঅর্ডার আছে এটা নিশ্চিত হওয়া গেলে এর চিকিৎসা করাটা খুবই সহজ। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে, জীবন যাত্রায় প্রচুর পরিবর্তন এবং কারো সমস্যা খুব বেশি হলে ওষুধ এবং কাউন্সেলিং।