মাসিকের প্রয়োজনীয়তা
মাসিক হলে অনেকক্ষেত্রেই উঠতি বয়সের মেয়েরা বিরক্তি বা অস্বস্তিবোধ করে থাকেন। কিন্তু শরীর ও মনের সুস্থতা ও স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য সময়মত মাসিক হওয়া প্রতিটি মেয়ের জন্যই জরুরি।
গর্ভধারণে
মাসিকের মাধ্যমেই একজন নারী গর্ভধারণের জন্য জৈবিকভাবে প্রস্তুতি লাভ করে। নিয়মিত মাসিক না হলে একজন নারীকে ভবিষ্যতে মা হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।
হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায়
নিয়মিত মাসিকই জানান দেয় যে আপনার দেহের হরমোনগুলোতে ভারসাম্য আছে। যদি হরমোন ভারসাম্যহীন হয়ে পরে এবং সঠিকভাবে কাজ না করে তবে প্রি-ম্যানসট্রুয়াল সিনড্রম (পি.এম.এস) দেখা দেয়। এ সময় প্রচন্ড ক্লান্তিবোধ, শরীরের ওজন বৃদ্ধিসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মানসিক সুস্থতায়
পুরো মাসিক প্রক্রিয়াটি শরীরের পাশাপাশি মনের ওপরও বিশেষভাবে প্রভাব ফেলে। নিয়মিত মাসিক হলে রাগ ও বিষণ্নতা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সামগ্রিক হরমোনাল স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে
মাসিকের রক্তের রঙ জানান দিতে পারে দেহের হরমোনের ভারসাম্যের অবস্থান। ২৮ দিনের মাসিক চক্রের সময় দেহের হরমোনগুলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হতে থাকে যা মাসিকের রক্তের রঙের উপর প্রভাব ফেলে এবং যার মাধ্যমে হরমোনের সামগ্রিক গতিবিধি বোঝা যায়।